করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করতে সরকার কর্তৃক সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২৬ মার্চ হতে সরকারি এবং বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকতে বলা হয় এবং বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়।
সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে শিক্ষায়তনের সাথে যুক্ত সন্তানদের নিয়ে। প্রতিদিনের একাডেমিক ব্যস্ততা, ছোটা-ছুটি, খেলাধুলা, গান শেখা, নাচ শেখা, হোমওয়ার্ক করা এক তুড়িতেই হারিয়ে গেল। ফলে একদিকে বাসায় অস্থির হয়ে উঠছে অন্যদিকে বাত্সরিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
Read More News
উত্তরার মালেকা বানু আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষিকা ’ফারজানা মাহবুব’ ফোনে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এটুআইয়ের কারিগরি সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের পাঠে ধরে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সংসদ টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম। স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে শুরু করা এই কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে এবং ভালো সময় কাটাচ্ছে।
ফারজানা মাহবুব আরও বলেন, আমরা যদি বিশ্বের দিকে তাকাই শিক্ষার্থীদের পাঠ ধরে রাখার জন্য, ঘরে শিক্ষার্থীদের সময় ভালো কাটাবার জন্য এবং একাডেমিক কার্যক্রমের ক্ষতি পুষিয়ে নেবার জন্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করছে।
তথ্য প্রযুক্তির এই সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুব সহজেই ঘরে বসে ফ্রি বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কিংবা স্কুল ভিত্তিক অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারে।
শিক্ষিকা ’ফারজানা’ বলেন, অনলাইনে সার্চ করে তোমার সমস্যার সমাধান কর। অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষক তোমাকে সাহায্য করতে অনলাইনে যুক্ত রয়েছেন, তাঁকে প্রশ্ন কর। ঘরে থাক, ঘরে খেলা যায় এমন খেলাধূলা কর, শরীর চর্চা কর, বই পড়, সিনেমা দেখ সর্বোপরি ভালো সময় কাটাও।
সম্মানিত অভিভাবক এই দু:সময়ে সন্তানকে সময় দিন, অনলাইনে তার সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করুন এবং তার উপযোগী অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর সাথে সন্তানকে যুক্ত করে দিন।
গোটা পৃথিবী জুড়ে প্রতিদিন যে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে তা একদিন থেমে যাবে। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় আবার খুলবে। আবার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হবে প্রতিটি শিক্ষাঙ্গন। অফিস, আদালত আবার খুলবে। বন্ধ কলকারখানা আবার চালু হবে। গার্মেন্টস শ্রমিকরা আবার কর্মমুখর হবে।
আবার তারা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাবে। সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। আমরা আবার পহেলা বৈশাখ পালন করব। পহেলা বৈশাখের বর্ণিল উৎসবে আবার মেতে উঠবে দেশ।