আজও বাস চলাচল বন্ধ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিলেও সড়ক আইনের প্রতিবাদে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকদের বড় একটা অংশ। এ কারণে বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন জেলায় অনেক রুটেই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আর এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও ঠিকমত নির্দেশনা না পাওয়ায় অনেক এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
Read More News

শেরপুর থেকে দূরপাল্লাসহ সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। চলছে না পণ্যবাহী ট্রাকও। স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকরা জানান ঢাকায় নেতাদের সাথে বৈঠক হওয়ার কথা শুনেছেন। কিন্তু নতুন আইন পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত তারা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামবেন না।

পাশাপাশি ট্রাক টার্মিনাল থেকেও কোনো ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ছাড়তে দেখা যায়নি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তাদের অনেককে বাস টার্মিনালে এসে ফিরে যেতে দেখা যায়।

সিরাজগঞ্জ জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির নেতারা জানান, মালিকরা বাস চালানোর জন্য শ্রমিকদের অনুরোধ করেছে। কিন্তু তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত তারা বাস চালাবে না বলে জানিয়েছে।

খুলনা থেকে চতুর্থ দিনে সব রুটে বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ অব্যহত রেখেছে শ্রমিকরা। এতে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।

খুলনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বলেন, বাস চালকরাই নিজ নিজ দায়িত্বে পরিবহন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সাথে যোগ দিয়েছেন পণ্যবাহী ট্রাক শ্রমিকরা। এক্ষেত্রে শ্রমিক ইউনিয়ন বা মালিক সমিতির কোনো আহবান নেই। তবে আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত শ্রমিকরা এ ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।

কুষ্টিয়া বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জানান, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে জেলার চালক ও শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার কথা বললেও তারা আমাদের মতো নেতাদের কথা মানছে না। শ্রমিকরা তাদের নিজের সিদ্ধান্তেই কর্মবিরতি পালন করছে।

টাঙ্গাইলেও ধর্মঘট পালন করছে বাসচালক ও শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি।

টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, এখনো বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ ঢাকায় শ্রমিক ফেডারশনের বৈঠক রয়েছে। বাস চলাচলের বিষয়ে ওই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *