আজারবাইজান-কারাবাখ প্রচণ্ড লড়াই

আজারবাইজানের সরকারি বাহিনির সঙ্গে সেদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অঞ্চল নার্গনো কারাবাখের বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
আজারবাইজান বলছে, আর্মেনিয়ার মদতপুষ্ট কারাবাখের বাহিনী তাদের ওপর ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর পর তাদের বাহিনী পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে।
অন্যদিকে আর্মেনিয়ার সরকার এই ঘটনার জন্য আজারবাইজানকেই দোষারোপ করেছে।
আযেরি সশস্ত্র বাহিনী এবং নার্গনো কারাবাখের নিয়ন্ত্রণে থাকা আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে বন্দুকের গোলাগুলির শব্দ আর তুমুল গোলাবর্ষণের আওয়াজ শোনা গেছে গোটা রণাঙ্গন জুড়ে।
টেলিভিশনে দেখা গেছে অগ্নিদগ্ধ যানবাহন এবং গোলাবর্ষণে তৈরি গভীর সব খাদের ছবি।
Read More News

বির্তকিত নার্গনো কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আযেরি ও আর্মেনীয়দের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের বিবাদ।
আযারবাইজান বলছে উচ্চ ক্ষমতার কামান এবং গ্রেনেড উৎক্ষেপক দিয়ে প্রতিপক্ষই তাদের ওপর প্রথম আক্রমণ চালিয়েছে।
তবে আর্মেনিয়ার সরকার বলছে আযারবাইজানই প্রথম ট্যাংক, কামান এবং হেলিকপ্টার নিয়ে শুক্রবার তাদের ওপর বড়ধরনের হামলা চালায় ।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য দুপক্ষকেই আহ্বান জানিয়েছেন। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মারিয়া যাকারোভা মস্কো উত্তেজনা কমানোর জন্য পদেক্ষপ নিচ্ছে। ”দুপক্ষকেই সংযম দেখানোর আহ্বান জানানো হয়েছে এবং অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। ইউরোপের নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা ওএসসিইর সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া আলোচনাও শুরু করেছে যাতে সহিংসতা আর বাড়তে না পারে।”
দুই দশকেরও বেশি আগে ১৯৯৪ সালে রাশিয়া নার্গনো কারাবাখ নিয়ে বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদনে মধ্যস্থতা করেছিল । কিন্তু তারপরেও দুপক্ষের মধ্যে মাঝে মধ্যেই বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে।

নার্গনো কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখন্ডের মধ্যে হলেও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর নার্গনো কারাবাখের এমপি আর্মেনিয়ার সঙ্গে থাকার পক্ষে ভোট দেয়।
১৯৯৪-এর যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর থেকে এই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
৮০-র দশকে আজারবাইজান আর আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘাত শুরু হলেও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বির্তকিত নার্গনো কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুপক্ষ পুরোপুরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ১৯৯১ সালে ।
চার বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে প্রাণ হারায় প্রায় ৩০ হাজার লোক।
সূত্র : বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *