আদালতে খালেদা জিয়া

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাসহ পাঁচ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে আদালতে হাজির হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এ সময় কয়েকশ নেতাকর্মী তাঁর সঙ্গে ছিলেন। এর আগে সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবীর এ তথ্য জানান। এদিকে, খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির উপলক্ষে আদালত চত্বরে পুলিশ-র‍্যাবের সমন্বয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই অঞ্চলে যানবাহন চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী উপস্থিত আছেন। গত ৩০ মার্চ বিএনপির চেয়ারপারসনসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
Read More News

ওই দিন বিকেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাসে পেট্রলবোমা মেরে যাত্রী হত্যার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে ৩০ মার্চ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন বিচারক। এ সময় মামলার ২৮ আসামিকে পলাতক উল্লেখ করে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) বশির উদ্দিন গত বছরের ৬ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম নামের এক যাত্রী। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কে এম নুরুজ্জামান গত বছরের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৫(ঘ) ধারায় যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *