প্রধান বিচারপতি বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিল বিভাগে ১০ শতাংশ ফাঁসি হয়।
রবিবার সকালে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির তারিখ ধার্য করার সময় প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।
শুনানি কালে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালে গেলে বলা হয় সব ফাঁসি। আমরা সবগুলোয় ফাঁসি দেই না। ২০ থেকে ২৫টি অভিযোগের মধ্যে মাত্র একটি বা দুটিতে ফাঁসি দেই। আমরা মাত্র ১০ শতাংশ ফাঁসি দেই।
Read More News
আদালতে এটিএম আজহারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন তুহিন এবং আর সৈয়দ কায়সারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাজাহান। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটির্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল। এরপর তিনি খালাস চেয়ে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি আপিল করেন। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরা হয়।
অপরদিকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন। এরপর ২০১৫ সালের ১৯ জানিুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার আবেদন জানানো হয়। আপিলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে।