লকডাউনের মধ্যেই মুম্বই ছেড়ে লস অ্যাঞ্জেলস উড়ে গিয়েছিলেন সানি লিওনি। স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার ও তিন ছেলে মেয়ে নিশা, আশার ও নোয়াকে নিয়েই রাতারাতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সন্তানদের সুরক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন সানি লিওনি।
লস অ্যাঞ্জেলসে যাওয়ার পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের জন্য নানা ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন সানি। শেয়ার করেছেন কেমন লছে তাঁদের গৃহবন্দি জীবন ও ছেলেমেয়েদের কথাও। কখনও নিজের মেকআপ ব্র্যান্ডের প্রমোশন তো কখনও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর ছবি, ভিডিয়ো সবই ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সানি।
Read More News
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে বেশ কয়েকটি নতুন ছবি শেয়ার করেছেন সানি। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়াতে চুটিয়ে মজা করতে ছাড়ছেন না তিনি। ছুটি কাটাতে ক্যালিফোর্নিয়ার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলেন সানি। সমুদ্র সৈকতে অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে নীলরঙা বিকিনিতে। সঙ্গে সানগ্লাস ও টুপি। সমুদ্র সৈকতে যেন ঝলমল করছেন সানি। পাশে একই রকম হ্যান্ডসাম দেখাচ্ছে স্বামী ড্যানিয়েলকেও। একসঙ্গে নিজস্বীও তোলেন সানি ও ড্যানিয়েল। দেখা মিলেছে সানির তিন ছেলে মেয়ে নিশা, আশার ও নোয়ারও। কিছুদিন আগেই যদিও একবার সপরিবারে সমুদ্রে ঘুরতে গিয়েছিলেন সানি। সেবার গেরুয়া রঙের পোশাকে ধরা দিয়েছিলেন তিনি। ভাইরাল হয় সেই সব ছবিও। তবে উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সানি।
https://www.instagram.com/p/CCkZ01_jf3U/?utm_source=ig_embed
গত ৪ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনে যোগদান করেছিলেন সানি লিওনি। বেশ কয়েক বছর ধরে মুম্বইয়ের বাসিন্দা সানি। সম্প্রতি অনুরাগীদের তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। কিন্তু তার আগে আমেরিকারই নাগরিক ছিলেন অভিনেত্রী। সেই সূত্রে ওই দেশের প্রতি এখনও একটা টান রয়ে গিয়েছে তাঁর। ৪ জুলাই স্বামী ড্যানিয়েলের পরিবার, তিন ছেলে মেয়ে নিশা, নোয়া ও আশারকে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িতে উদযাপন করতে দেখা গিয়েছে সানিকে। মার্কিন স্বাধীনতা দিবসের জন্য ইনস্টাগ্রামের বিশেষ ফিল্টার দিয়ে সবার সঙ্গে একটি মজার ভিডিয়োও বানান তিনি। ভিডিয়োতে ফিল্টারের জন্য সানি-সহ সকলের মাথায় দেখা যায় আমেরিকার পতাকা। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘৪ জুলাইয়ের শুভেচ্ছা। গর্বিত আমেরিকান। আমার পরিবার।’