‘ঐশীর’ মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন

পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে মেয়ে ঐশী রহমানের শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
Read More News

সুপ্রিম কোর্টের সম্পূরক কার্যতালিকায় আজ সোমবার রায়ের জন্য দিন ঠিক করা হয়। এর আগে গত ৭ মে শুনানি শেষে এ বিষয়ে যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

দণ্ড কমানোর কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যায় আদালত বলেন, পাঁচটি কারণে ঐশীর মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে।

এক, হত্যাকাণ্ডের সময় ঐশী মাদকাসক্ত ছিলেন। ১৪ বছর বয়স থেকেই সে শিশা,  ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল এসব নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করত।

দুই, ঐশী বংশগতভাবে মানসিক রোগী। তাঁর চাচা- দাদী , খালা অনেকের মাঝেই মানসিক রোগলক্ষণ আছে যা তার মাঝেও ছোটবেলা থেকে বিদ্যমান।

তিন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দ্বিতীয় দিনের মাথায় তিনি আত্মসমর্পন করেছেন। এতে বোঝা যায় তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

চার, ঘটনার সময় তাঁর বয়স ছিল ১৯ বছর। এই বয়সের একটি সন্তানকে তাঁর বাবা-মা যথাযথ দেখভাল করেননি। ফলে ঐশী ছোটবেলা থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন।

পাঁচ, ঐশীর বাবা-মা দুইজনেই সন্তানের লালনপালন বিষয়ে উদাসীন ছিলেন। যে কারণে ছোটবেলা থেকেই সে স্নেহবঞ্চিত হয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

আর এই পাঁচ কারণ আমলে নিয়ে আদালত তাঁর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *