মানবপাচারের দায়ে কুয়েতে গ্রেফতার থাকা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী পাপুলকে চার বছরের জেল দিয়েছেন দেশটির আদালত। এছাড়াও ৫৩ কোটি টাকার বেশি জরিমানা করা হয়েছে। বিদেশে একজন সংসদ সদস্যের জেল জরিমানা নজিরবিহীন বলছেন দুদক সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে, সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দু’বছরের বেশি সাজা যে দেশেই হোক না কেনো সংসদ সদস্যপদ থাকবে না পাপুলর।
গত বছরের জুনে কুয়েতের আদালতের আদেশে শহিদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট। সে সময় তার বিরুদ্ধে অবৈধ ভিসার ব্যবসা ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আনে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা। আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে তারা জানায়, পাপুল ও কুয়েতের একটি চক্র ২০ হাজার বাংলাদেশিকে কুয়েতে পাচার করে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
Read More News
পাপুলের সংসদ সদস্যপদ থাকবে কি না তা সম্ভাবনা নির্ভর করছিলো কুয়েতের আদালতের ওপর। ছয় মাসের শুনানির পর শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার বছরের জেল ও ৫৩ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন দেশটির আদালত। সে দেশের গণমাধ্যমেও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশী এমপি ও আইন প্রণেতাকে কুয়েত আাদলতের চার বছরের জেল।
এদিকে একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বিদেশে শাস্তির নজির নেই উল্লেখ করে শেষ পর্যন্ত তার সংসদ সদস্যপদ থাকবে কি না তা আাদলতের নির্দেশনার ওপর ছাড়ছেন দুদক সংশ্লিষ্টরা।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম বলেন, নৈতিক হননের দায়ে দুই বছরের বেশি যদি কেউ সাজাপ্রাপ্ত হন তাহলে উনি সংসদ সদস্যপদ হারাবেন। কিন্তু আমার জানামতে কোন সাংসদের বিদেশে সাজা হওয়ার কারণে সংসদ সদস্যপদ গিয়েছে এই ধরণে নজির নেই।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, আইনের ব্যাখ্যা হলো, তার সংসদ সদস্যপদ থাকবে না। কারণ এই যে দু’বছর সাজা হলে সংসদ সদস্যপদ থাকবে না, এর উদ্দেশ্য কি? উদ্দেশ্য হলো, অপরাধী যাতে আমাদের সংসদ সদস্য না থাকে। সে যে দেশেই হোক। প্রমাণিত হয়েছে সে দোষী, অপরাধী। অতএব আমরা চাইবো না, একজন দোষী আমাদের সংসদ সদস্য থাকুক।