সমুদ্র তীরে ঢেউয়ের গর্জন, নেই কোনো কোলাহল। চারদিকে সুনশান নিরবতা। শুক্রবার (০২ এপ্রিল) করোনার সংক্রমণ বাড়ায় বন্ধ করে দেয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সমুদ্র সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত যেখানে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে সেখানে শুক্রবার ফাঁকা ছিল পুরো সৈকত। ছিল না ফটোগ্রাফার, বিচ বাইক চালক, জেড স্কি চালক, কিটকট ব্যবসায়ী বা হকারদের দৌরাত্ম্য। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের সহস্রাধিক দোকানপাটও।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সাগরের স্বচ্ছ পানির টানে অনেক পর্যটক ছুটে আসেন এই সৈকতে। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বাড়ায় প্রতিটি প্রবেশদ্বারে ট্যুরিস্ট পুলিশের কড়া পাহারা। সৈকতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। ট্যুরিস্ট পুলিশের বাধার মুখে হতাশা নিয়েই অনেক পর্যটককে ফিরতে হচ্ছে প্রবেশদ্বার থেকে। তাদের মতে, সৈকত বন্ধের ঘোষণা আগে দিলে এই সমস্যায় পড়তে হত না।
Read More News
এদিকে, কক্সবাজারে রয়েছে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ। এগুলো খোলা থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ রুম চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তবে পর্যটন স্পট বন্ধের ঘোষণায় পর্যটকরা কক্সবাজার ছাড়ছেন।
এদিকে, শুক্রবার দুপুরে সৈকত, সৈকত এলাকার দোকানপাট ও হোটেল মোটেল জোন পরিদর্শন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল আমিন পারভেজ।
আল আমিন পারভেজ বলেন, যাদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখতে এসে প্রবেশ না করে চলে যেতে হচ্ছে; তাদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই। তারা বন্ধের ঘোষণাটি আগেই জানলে সত্যিই ভালো হত। তবে যারা এসেছেন তাদের প্রতি অনুরোধ সৈকত এলাকা পরিহার করুন।