আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারীতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
রংপুর: রংপুরের গঙ্গচড়ায় তিস্তার নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেই সঙ্গে ভাঙনের মুখে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে নদী র্তীরবর্তী এলাকার বিদ্যালয়গুলো। গঙ্গাচড়া সদর, কোলকোন্দ, আলমবিদিতর, লক্ষ্মীটারী ও নোহালী ইউনিয়নে নদী তীরবর্তী ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
Read More News
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাজারজাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কালুয়ারচরে বাঁধ ভেঙ্গে এক নারী ও শিশু নিখোঁজ হয়েছে। জেলার ৫৪টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা পাড়ে পানির সঙ্গে বাড়ছে ভানভাসী মানুষের কান্না। জেলার ৫ উপজেলার ৩০ ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি। তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। এলাকাবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন।
নীলফামারী: নীলফামারীতে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেও পানির তোড় সামলাতে পারছে না ডালিয়া পানি উনয়ন্ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে ডিমলা উপজেলার ৫টি ও জলঢাকা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার পরিবার।