কোলকাতায় ওয়ার্ল্ড টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচের বাকি আছে মাত্র দেড় দিন। কিন্তু শহরে কেউ ফাইনাল নিয়ে আলোচনা করতেও দ্বিধা করছেন। তাদের আগ্রহে অনেকটাই ভাটা পড়েছে।
আগামীকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের খেলাটি হবে ইডেন গার্ডেনসে । কিন্তু কোলকাতায় বৃহস্পতিবার নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের একটি অংশ ধসে হতাহতের ঘটনার পর আমূল বদলে গেছে সেখানকার পরিবেশ।
উদ্ধার তৎপরতা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। বহু মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিবিসির দিল্লী প্রতিনিধি শুভজ্যোতি ঘোষ রয়েছেন কোলকাতায় । তিনি জানাচ্ছেন, “এই দুর্ঘটনার পর লোকজনের মনের যে অবস্থা তার প্রভাব এরইমধ্যে ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচটিতেও পড়তে শুরু করেছে। রাস্তায় বিমানবন্দর থেকে পথচারী, চ্যাক্সিচালক সবার মুখে একটাই কথা। ফ্লাইওভার কিভাবে ধ্বসে পড়লো, কেন পড়লো, কত মানুষ এখনো চাপা পড়ে থাকতে পারে এমন সব প্রশ্ন। উদ্ধারকাজে প্রশাসন যথেষ্ট তৎপরতা দেখাচ্ছে কি-না সেই প্রশ্নও করছেন তারা”।
Read More News
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফ্লাইওভার ধসে পড়া এবং রাতে ভারতের হেরে যাওয়া-এই দুটো ঘটনার পর ফাইনাল থেকে কোলকাতার মনোযোগ অনেক সরিয়ে দিয়েছে।
ফাইনাল উপলক্ষে শুক্রবার রাতে আইসিসি স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবে একটি সান্ধ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানেও খেলার থেকে ফ্লাইওভার প্রসঙ্গই ছিল বেশি।
যদিও ইডেনের কাছে এই খেলাটির অনেক গুরুত্ব রয়েছে। ১৯৮৭ সালে ইডেন গার্ডেনসে বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল। তার প্রায় তিন দশক পরে আরেকটি বিশ্বকাপের ফাইনাল হতে যাচ্ছে। মাঝখানে ইডেনকে অনেক কলঙ্ক বইতে হয়েছে।
১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল শেষ করা যায়নি এই মাঠে। শ্রীলঙ্কার ভারত যখন হারছিল দর্শকরা মাঠে বোতল ছুড়তে শুরু করে। খেলা মাঝপথে দর্শকদের আচরণের কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কাকে বিজয়ী ঘোষণা করতে হয়েছিল। ২০১১ সালে ভারত ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ম্যাচ “প্রস্তুতি শেষ হয়নি” বলে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
এখন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের নেতৃত্বে এসেছেন সাবেক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি। তার হাত ধরে ইডেন এই বিশ্বকাপের ফাইনালকে ঘিরে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু যে আগ্রহ দেখা যাবে ভাবা হয়েছিল তা আর নেই। এখন আর ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা নেই মোটেই। এখন সমস্ত আলাপ ফ্লাইওভার ধস নিয়েই।