বাংলাদেশের দারুণ জয়

শ্রীলঙ্কার ২১৫ রানের ঝড়ের পর বাংলাদেশের পাল্টা ঝড়টা তাই মাতিয়ে দিল টি-টুয়েন্টির আসর। ৫ উইকেটের ইতিহাস গড়া এক জয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।

প্রেমাদাসার ভেজা উইকেটের সুবিধা নিতে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বোলাররা কোন সুবিধা আদায় করতে না পারলে লঙ্কানরা নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ২১৪ রানের পুঁজি পায়। যেটি এই মাঠে সর্বোচ্চ সংগ্রহ, শ্রীলঙ্কা দলেরও। বাংলাদেশ নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েই যার জবাব দিয়েছে। ৫ উইকেট আর ২ বল অক্ষত রেখেই।
Read More News

দুর্দান্ত এই জয়ের পথে টি-টুয়েন্টির ইতিহাসে রান তাড়ার চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এই ফরম্যাটে রান তাড়ার সর্বোচ্চ রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবছরই অকল্যান্ড ২৪৩ রান তাড়া করে জেতে অজিরা।

পাহাড়সম লক্ষ্য টপকাতে শুরু থেকেই ঝড় তুলতে হত। তামিম-লিটন কাঙ্ক্ষিত ঝড়টা তুলে পথেই রাখেন বাংলাদেশকে। ১০ ওভারেই ১০০ তুলে ফেলেন। ৫.৫ ওভারের উদ্বোধনীতে আসে ৭৪ রান। তামিম ইকবালের চেয়ে লিটন দাসই ছিলেন বেশি আগ্রাসী। ফার্নান্দোর বলে এলবি হয়ে ফেরার আগে ১৯ বলে ৪৩ রান এসেছেন উদ্বোধন করতে নামা এ ডানহাতির ব্যাটে। ২ চার ও ৫ ছক্কার ইনিংস।

তামিম পরে সৌম্যকে সঙ্গী করে সংগ্রহটা একশতে টেনে নেন। যদিও ফিফটির আগেই ফিরেছেন। ৬ চার ও এক ছক্কায় ২৯ বলে ৪৭ রানের অবদান বাঁহাতি ওপেনারের। পেরেরাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন।

পরের ব্যাটসম্যানদের রান তোলার গতি ধরে রাখতে হত। সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম সে পথেই হাঁটেন। দুজনে ৫২ রান যোগ করেন ৪.৫ ওভারে। সৌম্যর বিদায়ে ভাঙে জুটি। ২ চার ও এক ছক্কায় ২২ বলে ২৪ রান করে ফার্নান্দোকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন এই বাঁহাতি।

মুশফিক অন্যপ্রান্তে চালিয়ে যান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে গড়েন আরেকটি ৪২ রানের কার্যকরী জুটি। মাহমুদউল্লাহ একটি করে চার-ছয়ে ১১ বলে ঝড়ো ২০ তুলে চামিরার বলে ক্যাচ দেন। সাব্বির রহমান প্রয়োজনের মুহূর্তে হতাশ করেছেন। দুই বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। ঝুঁকি নিয়ে এক রান নিতে যেয়ে পেরেরার সরাসরি থ্রোতে রানআউট।

কিন্তু ভরসা হয়ে ছিলেন মুশফিক। ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। অপরাজিত ৭২ রানের ইতিহাস গড়া ইনিংস তার, ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৫ বলে সাজানো।

এর আগে ইনিংসের শুরু থেকেই ঝড় তুলে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা দুইশ পার করে নেন দলীয় সংগ্রহ। প্রেমাদাসায় লঙ্কানদের আগের সর্বোচ্চ সংগ্রহটি ছিল ১৭৫ রানের, ভারতের বিপক্ষে নিধাস ট্রফির প্রথম ম্যাচেই। আর মাঠের আগের সর্বোচ্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ২০৫ রান, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১২ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *