প্রেম তো আর ধর্ম, বর্ন বুঝে না, তাই সব ছাপিয়ে এখন ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে ভিন্ন ধর্মের নারী পুরুষ। আর এই ভালোবাসার পরিপুর্ন রূপ দিতে তারা আবদ্ধ হতে চাইছেন বিয়ের বন্ধনে। এখন অনেকেই সমস্যায় আছেন যে কিভাবে তাদের এই ভালোবাসা কে বিয়ের ছকে বাঁধবেন।
ভিন্ন ধর্মের দুইজন যদি বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান তবে তাদের বিয়েটি রেজিস্ট্রি করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন এলাকায় এক বা একাধিক মেরেজ রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়ে থাকেন।এই মেরেজ রেজিস্ট্রারদের অফিসে যেয়ে, নির্ধারিত ফরম সম্পাদন করে ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত রেজিস্ট্রি ফি পরিশোধ করে বিয়েটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর জন্য আরো প্রয়োজন হবে ৪ কপি পার্সপোর্ট সাইজ ছবি, ৩ জন সাক্ষীর, জাতীয় পরিচয় পত্রের একটি কপি, যদি দু’জনের কোন একজন বাংলাদেশী নাগরিক না হন তবে সে ক্ষেত্রে তার পাসপোর্টের কপি। এই ধরনের বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আর একটি বিশেষ বিষয় হল যে বিয়ের ১৪ দিন আগে একটি নোটিশ দিতে হয়। যে কোন এক পক্ষ এই নোটিশ প্রদান করলেই চলে। এই নোটিশটি ও মেরেজ রেজিস্ট্রারের অফিসে যেয়ে নির্ধারিত ফর্ম পুরন করে মেরেজ রেজিস্ট্রারকে দিবেন, যে তারা বিয়ে করতে চান। তখন এই ১৪ দিনের মাঝে যদি কেউ অবজেকশন দেয় এই বিয়ে নিয়ে তবে সেটি কোর্টে শুনানি পুর্বক তবেই সম্পাদন করতে পারবেন। যদি কেউ এই মুহুর্তে বিবাহিত থাকা অবস্থায় আবার এই আইনের অধীন আরেকটি বিয়ে করেন তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ফাহরিয়া ফেরদৌস।
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।