রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভারত পেট্রোলিয়াম বিলগ্নিকরণের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই এই দুই সংস্থার বিক্রির প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় তারা। এমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
TOI-কে শনিবার এক আকান্ত সাক্ষাৎকারে মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই আর্থিক বছরের মধ্যে এই দুই সংস্থার বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা চলছি। এখন বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভারত পেট্রোলিয়ামকে ঘিরে লগ্নিকারীদের মধ্যে ইতোমধ্যে বিপুল উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও সীতারম জানিয়েছেন। এদিকে, সংসদীয় আইন অনুসারে BPCL গঠিত হয়েছিল। ফলে এই সংস্থার শেয়ার বিক্রি করতে গেলে লোকসভা এবং রাজ্যসভার অনুমতি নিতে হবে সরকারকে। বর্তমানে BPCL-এ সরকারের ৫৩.২৯ শতাংশ অংশিদারিত্ব আছে।
Read More News
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রি করে চলতি আর্থিক বছরে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। শুধুমাত্র সরকারি সংস্থার শেয়ার বেচে এই বছর ১,০০০,০০০,০০০,০০০ টাকা (১ ট্রিলিয়ন) ঘরে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমান বছরে বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির ৩.৩ শতাংশের মধ্যে বেঁধে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। কিন্তু মন্দার কারণে রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় সরকার সেই টার্গেট পূরণে কতটা সফল হবে, তা নিয়ে জোর সংশয় আছে।
পাশাপাশি শিল্প উৎপাদনের হালও বেহাল। গত সেপ্টেম্বর মাসে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৪.৩ শতাংশ হ্রাস হয়েছে। ২০১২ সালের এপ্রিলের পরে এই প্রথম দেশের শিল্প ক্ষেত্রের এমন হাল হল। শুধু তাই নয়, এই নিয়ে পরপর দু-মাস শিল্প উৎপাদনের উর্ধ্বগতি ধাক্কা খেল। অগস্ট মাসে শিল্প উৎপাদনে সূচক ১.১ শতাংশ কমে গিয়েছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪.৬ শতাংশ হারে কলকারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছিল। ফলে দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে চূড়ান্ত বিপাকে মোদী সরকার।
এই পরিস্থিতিতে আর্থিক ঘাটতি সামাল দিতে কেন্দ্রের একমাত্র ভরসা বিলগ্নিকরণ। ভারত পেট্রোলিয়াম এবং এয়ার ইন্ডিয়া ছাড়াও এই তালিকায় আছে ইন্ডিয়ান অয়েল, শিপিং কৰ্পোরেশন (SCI), THDC ইন্ডিয়া এবং NEEPCO-এর মতো সংস্থার নাম।