রাজধানী ঢাকায় যানজটের ভোগান্তি আবার তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন কর্মজীবীরা। ব্যবসাবাণিজ্যও ব্যাহত হচ্ছে। যানজটের কারণে নগরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার দাপট, সড়কে যত্রতত্র পার্কিং ও অকার্যকর ট্রাফিক সিস্টেমের কারণে মূলত যানজট তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যাটারিচালিত রিকশার দাপট : ৫ আগস্টের পর রাজধানীর প্রধান সড়কে অবাধে চলতে শুরু করে ব্যাটারিচালিত রিকশা। যানজট, দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে এসব রিকশা বন্ধে গত ১৯ নভেম্বর হাই কোর্ট আদেশ দেন। তবে ব্যাটারি রিকশাচালকদের আন্দোলনের মুখে আদেশটি স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। এরপর থেকে ব্যাটারি রিকশার দাপট আরও বেড়েছে।
Read More News
যত্রতত্র পার্কিং : ঢাকা শহরের লোকসংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। সেই তুলনায় ঢাকায় নতুন কোনো রাস্তা তৈরি হয়নি। উল্টো যে রাস্তাগুলো রয়েছে, তা-ও বেদখল হয়ে যাচ্ছে। তার ওপরে শহরের রাস্তায় অবৈধ গাড়ি পার্কিং। কোথাও কোথাও চলছে রাস্তা দখল করে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ‘পার্কিং ফি’ নেওয়ার ব্যবসা।
অকার্যকর ট্রাফিক সিস্টেম : জানা যায়, ২০০৪ সালের পর ঢাকার ইন্টারসেকশনে ব্যাপক হারে ট্রাফিক সিগন্যাল অবকাঠামো স্থাপন করা হয়। থেমে থেমে যার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। বিশেষ করে সিগন্যাল বাতি, ট্রাফিক কাউন্টডাউন টাইমার, অটো বা স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যালব্যবস্থা, ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেমের প্রযুক্তি ঢাকার ইন্টারসেকশনে স্থাপন করা হয়েছে। নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘ঢাকা শহরে যানজটের কারণ দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা। অবশ্যই মহাসড়ক এবং অন্য অনেক সড়কেই প্যাডেলচালিত রিকশা এবং অটোরিকশা চলার সুযোগ নেই। একই সঙ্গে সড়কে যত্রতত্র পার্কিং রোধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা প্রধান্য। এ ছাড়াও পুলিশ, বিআরটিএ, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয় করে যানজট নিরসনে উদ্যোগ নিতে হবে। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহনবিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে বিআরটিএকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। অবস্থার উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তায় যেন চলতে না পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।