সুন্দরবন রক্ষার জন্য রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন চুক্তি বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জাতীয় কমিটি।
এর আগে প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। সেখানে সুন্দরবনের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহবান জানান জাতীয় কমিটির নেতারা।
Read More News
মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে বের হয়ে শাহবাগে এলে প্রথম পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হয় মিছিলটি। পরে পরীবাগে এসে আবারও পুলিশের ব্যারিকেডের সম্মুখীন হয় তারা। এ সময় ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে আন্দোলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আন্দোলনের একজন কর্মী বলেন, জনগণ যখন মাঠে নামছে, তখন তারা ন্যক্কারজনকভাবে টিয়ার শেল ছুড়ে, লাঠিচার্জ করে জনগণের এ আন্দোলনকে নস্যাৎ করা চেষ্টা করছে।
পুলিশ বলেন, আমরা ব্যারিকেড দিয়েছি, তারা ব্যারিকেড ভেঙে আসছে। এর পর আমরা তাদের শাহবাগে আটকানোর চেষ্টা করেছি। আমরা তো অনেক ধৈর্য ধরছি। ধৈর্য ধরে শাহবাগে আটকানোর চেষ্টা করেছি, এখানেও আটকানোর চেষ্টা করেছি, তা-ও তারা শোনেনি, তারা আরো অ্যাডভান্স হতে চায়। ভিআইপি রোডের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে, এখানে তো অনেক ভিআইপি চলাচল করেন এবং এটাই মনে হয় বাংলাদেশের প্রধান ভিআইপি রাস্তা, যেটা দিয়ে সবচেয়ে বেশি ভিআইপি চলাচল করে। এ রাস্তার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা তাদের আর অগ্রসর হতে দিইনি। আমরা চেষ্টা করেছি এখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার।
আরেক আন্দোলনকারী বলেন, চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ হিসেবে যাঁরা দাবি করছেন, তাঁদেরও দায়িত্ব ছিল, আমরা তাঁদের কাছে প্রত্যাশা করেছিলাম, সুন্দরবনের ইস্যুতে জনগণের রায়কে তাঁরা মেনে নেবেন। কিন্তু আজকে তাঁরা যেভাবে নগ্নভাবে আমাদের ওপর হামলা করেছেন, টিয়ার শেল মেরেছেন, আমরা দেখতে পেলাম, তাঁরা আসলে জনগণের সস্পূর্ণ বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন।