ভিএম মেহতা রোড, জুহু সেখানেই রয়েছে ১০ হাজার স্কোয়্যার ফুটের বাংলো ‘জলসা’। আর তাতেই বাস করেন বলিউডের লিভিং লেজেন্ড অমিতাভ বচ্চন। ভক্তদের দেখাও দেন তিনি। রবিবার করে খুলে যায় সেই বাংলোর গেট। রোদ-জল মাথায় নিয়ে বহু মনুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য। পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে ভক্তদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন তিনি। পরণে কুর্তা, সাদা চাদর। এক ঝলক হাসি। জীবনের পরম পাওয়া পেয়ে যান ভক্তরা।
Read More News
গত তিন দশক ধরে এমনটাই করে আসছেন অমিতাভ বচ্চন। কিন্তু মহামারীতে বদলে গেল সবকিছু। বন্ধ সেই বিখ্যাত ‘সানডে রিচ্যুয়াল।’ শুধু তাই নয়, মহামারীর কোপ গিয়ে পড়ল খোদ সেই বাংলোর অন্দরে। করোনা আক্রান্ত হলেন অমিতাভ বচ্চন। করোনার গ্রাসে বলিউডের ফার্স্ট ফ্যামিলি। আক্রান্ত অভিষেক, ঐশ্বর্য, আরাধ্যাও। আপাতত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে সেই বাংলো।
অনেকেই জানেন না অমিতাভের এই বিখ্যাত বাংলো আসলে তাঁর নিজের কেনা নয়। এটা তিনি উপহারস্বরূপ পেয়েছিলেন। বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক রমেশ সিপ্পি তাঁর সিনেমায় অভিনয় করার জন্য অমিতাভকে এই বাংলো উপহার দিয়েছিলেন। সিনেমার নাম ছিল ‘সত্তে পে সত্তা।’
‘জলসা’ ছাড়াও অমিতাভের আরও একটি বাংলো আছে জুহুতে। সেটাই কিনেছিলেন অমিতাভ নিজে। ‘জলসা’ থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেই বাংলো, যার নাম ‘প্রতীক্ষা।’ জলসায় প্রবেশ করার মুখেই দেখা যায় সবুজে ভরা অংশ। চারপাশে লাগানো প্রচুর গাছ। রয়েছে সবুজ গালিচার মত ঘাস বিছানো বাগানও।
‘জলসা’ বাংলোর মূল্য অনেক। হিসেব বলে মোটামুটি ১২০ থেকে ১৫০ কোটি টাকার এই বাংলোতে থাকেন অমিতাভ ও জয়া।
শুধু চেহারাতেই বড় নয়, জলসার প্রতিটি কোনায় রয়েছে আভিজাত্য ও রুচির ছোঁয়া। দেওয়ালে কাঁচ লাগানো আসবাব, মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত লম্বা জানালা ‘জলসা’র বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
‘জলসা’র ডেকরেশনে রয়েছে রাজকীয় ছোঁয়া। একটি ঘরের দেওয়াল জুড়ে রয়েছে বচ্চন পরিবারের সদস্যদের ছবি। রয়েছে অমিতাভের স্টাডি, দেওয়াল জোড়া বুক সেলভ।