হিজড়াদের সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

শান্তি এবং মানবতার ধর্ম ইসলাম। সব মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছে ইসলাম।

হিজড়াদের ইসলামে কীভাবে দেখা হয় এ প্রসঙ্গে শায়খুল হাদিস ও বাংলাদেশ কওমি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুস সামাদ বলেন, ইসলাম হিজড়াদের ওপর অবিচার করেনি। অন্যসব মানুষের মতো একজন মানুষ হিসেবে দেখেছে হিজড়াদের। পুরুষ হলে পুরুষের, নারী হলে নারীর বিধান মেনে চলতে হবে তাদের। একজন নারীর যেমন নামাজ, রোজা ও পর্দাসহ ইসলামের সব বিধান মানতে হয়, একজন নারী হিজড়াকেও এগুলো মেনে চলতে হয়। এভাবে পুরুষের মতো পুরুষ হিজড়াকেও। মৃত সাধারণ মানুষের মতো তাদেরও কাফন, দাফন ও জানাজা দিয়ে কবর দেয়ার হুকুম। তারা এগুলো মানে না বলেই তো তাদের এ করুণ অবস্থা।
Read More News

একটি চক্র সুস্থ মানুষের অঙ্গহানি করে হিজড়া বানিয়ে ফেলছে। কেউ নিজের আগ্রহে হিজড়া হচ্ছে। এদের ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী? উত্তরে তিনি বলেন, ‘অঙ্গহানি নাজায়েজ। মারাত্মক অপরাধ। কারও জটিল দুরারোগ্য ব্যথা হলেও ধার্মিক অভিজ্ঞ ডাক্টারের পরামর্শ ছাড়া অঙ্গ কাটার কোন সুযোগ ইসলাম দেয়নি। এ ছাড়া একজন সুস্থ মানুষের অঙ্গহানি করে অসুস্থ বানানো, সমাজ ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা অমার্জনীয় অপরাধ। কঠোর হস্তে দমন করা উচিত।

সারাদেশে হিজড়ার সংখ্যা ৫০ হাজার। কৃত্রিম হিজড়া ২০ হাজার। একটি চক্র সরল সুন্দর সপ্তম-অষ্টম শ্রেণীর বারো-তেরো বছরের ছেলেদের ফুসলিয়ে প্রতারণায় ফেলে নিয়ে যায়। হাসপাতাল ক্লিনিকে শিক্ষিত ডিগ্রিধারী ডাক্তারের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গ কেটে, ওষুধ খাইয়ে আকৃতি বিকৃত করে, ইনজেকশন দিয়ে বা অপারেশন করে স্তন বড় করে এদের হিজড়ার খাতায় নাম লেখায়। পরে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, পতিতাবৃত্তির মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত হয় এরা। হিজড়া, অসহায় এবং অভাবীদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে অপরাধপ্রবণতা কমবে। তারা স্বাভাবিক ও সুন্দর জীবন লাভে ধন্য হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *