আরও জটিল রূপ নিলো হৃতিক রোশনের সঙ্গে কঙ্গনা রানাওতের ঝগড়া। আইনি নোটিশ নিয়ে দু’পক্ষের কয়েকপ্রস্ত চাপানউতোরের পরে এফআইআরে সরাসরি কঙ্গনার নাম করেছেন হৃতিক। যার জেরে তিনবারের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী কঙ্গনা এবং তার বোন রঙ্গোলিকে তলব করেছে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
আগামী সাতদিনের মধ্যে কঙ্গনা এবং তার বোনকে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য থানায় গিয়ে নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে। যদিও কঙ্গনা তার আইনজীবী মারফত আজই জানিয়েছেন, তিনি এবং রঙ্গোলি থানায় যাবেন না। সূত্র- এবেলা।
বলিউড নায়িকার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬০ ধারায় সাক্ষ্য দিতে তার মক্কেলকে পুলিশ থানায় তলব করতে পারে না।
Read More News
তার কথায়, ‘আমার মক্কেল এবং তার বোনকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য যে সমন পাঠানো হয়েছে, তা বেআইনি। আইনত কোনও পুলিশ কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য কোনও মহিলাকে থানায় ডেকে পাঠাতে পারেন না।’
কঙ্গনা তদন্তের কাজে স্বেচ্ছায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানানোর পরেও কেন তাকে সমন পাঠানো হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তার আইনজীবী।
তার নাম ভাঁড়িয়ে কেউ ভুয়ো ইমেল অ্যাকাউন্ট খুলেছে বলে মুম্বাই পুলিশের সাইবার শাখায় অভিযোগ জানালেও প্রথমে তাতে কঙ্গনার নাম দেননি হৃতিক। এ বিষয়ে তার তরফে দাবি করা হয়েছে, কঙ্গনার অসুবিধা এড়াতেই তিনি নাম জানানো থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু ওই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে পুলিশের কাছে আরেকবার আবেদন জানানোর সময়ে কঙ্গনার নাম দিয়েছেন হৃতিক।
নায়কের যুক্তি, কঙ্গনার কাছেই তিনি ভুয়ো ইমেল অ্যাকাউন্টের কথা প্রথম জেনেছেন।
হৃতিকের দাবি, তার নাম ব্যবহার করে করা ওই ইমেল অ্যাকাউন্টের হদিস তিনি প্রথম পান ২০১৪ সালের মে মাসে। কে তার নাম ব্যবহার করে এ কাজ করেছে, তা খুঁজে বার করতে সে বছর ডিসেম্বরেই তিনি থানায় প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন।
‘কৃষ থ্রি’ ছবির সহ-নায়িকাকে পাঠানো নোটিশে হৃতিক জানিয়েছেন, একসঙ্গে অভিনয় করা এবং পেশাগত কারণে পারস্পরিক পরিচয় ছাড়া কঙ্গনার সঙ্গে তার ‘সামাজিক, ব্যক্তিগত, প্রেম বা ঘনিষ্ঠতা’— কোনও সম্পর্কই নেই।
কঙ্গনা তার আইনজীবী মারফত পাল্টা নোটিশে জানান, তিনি ‘হৃতিকের ও হৃতিকের পরিবারের সদস্যদের কাছে অপরিচিত নন’।
সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, হৃতিক তার নামে ভুয়ো ইমেল অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে বলে জানালেও কঙ্গনার ধারণা অন্যরকম। নায়িকার মতে, ওই ‘ভুয়ো’ ইমেল অ্যাকাউন্টটি হৃতিকই ব্যবহার করেন।