করোনায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে রাজধানীর এভায় কেয়ার হাসপাতালে সাত তলার ৭২০৩ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা।
দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ হওয়ার পর কিছু শারীরিক পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল বোর্ড। মঙ্গলবার রাতে গুলশানের ভাড়াবাসা ফিরোজা থেকে এভায় কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। সেখানে সিটিস্ক্যান, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইকো, ইসিজিসহ শারীরিক কিছু পরীক্ষা শেষে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়।
বেগম জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতির বিষয়ে চিকিৎসক টিমের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে তার, কিছু বাকি রয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলো করার জন্য হাসপাতালে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। করোনার কোন উপসর্গ নেই।
Read More News
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। নানা পরীক্ষার সুবিধার্থেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত ১২টা পর্যন্ত সিটি স্ক্যান, আলট্রাসনোগ্রাম, ইকো-ইসিজিসহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামের কয়েকটি পরীক্ষার জন্য বলেছে। সেজন্যই তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ম্যাডাম করোনা পজেটিভ হলেও তার কোনো উপসর্গ নেই। তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি ভালো আছেন।
এর আগে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বাসভবন ফিরোজা থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। হাসপাতালে খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষার সময় সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসক টিমের অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন, একজন নার্স ও গৃহপরিচারিকা ফাতেমা।
এছাড়াও ছিলেন-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, এসএম জাহাঙ্গীর, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।